চিরাচরিত প্রথা মেনে রাক্ষুসীর পুজো : ব‍্যতিক্রমী হলেও আবেগ পুজোতে

25th August 2021 4:27 pm হুগলী
চিরাচরিত প্রথা মেনে রাক্ষুসীর পুজো : ব‍্যতিক্রমী হলেও আবেগ পুজোতে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : তারকা সূর্পণখা হিড়িম্বা পুতনা রামায়ণ মহাভারত পুরানে হরেক রাক্ষুসীদের পরিচয় পাওয়া যায়। কিন্তু তাদের পুজো হচ্ছে এমন খুব একটা দেখা যায় না।লক্ষ্মণ সূর্পণখার নাক কাটায় লঙ্কা কান্ড হয়েছিল আবার তারকা বধ করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। শ্রীকৃষ্ণকে বধ করতে পুতনার সাহায্য নিয়েছিল কংস হিড়িম্বকে বধ করে হিরিম্বাকে বিবাহ করেছিলেন ভীম। এমন অনেক কাহিনী রাক্ষসদের নিয়ে রয়েছে।রাক্ষস কুলকে মূলত মনুষ্যকুলের শত্রু হিসাবে মনে করা হয়। যদিও চন্দননগর নীচুপট্টিতে রাক্ষুসে বাড়িতে কিন্তু রাক্ষুসীর পুজো হয়।চন্দননগরে রাধাগোবিন্দ বাড়ি রাক্ষুসে বাড়ি নামে খ্যাত। এখানে রাধাগোবিন্দের মন্দিরে রাক্ষুসীর অধিষ্ঠান। তার নিত্য পুজো হয়।মূর্তির কোলে শিশু কৃষ্ণ। কংস কৃষ্ণকে মারতে পুতনাকে পাঠিয়েছিল, কৃষ্ণকে স্তন পান করিয়ে মারার চেষ্টা করেছিল পুতনা। সেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয় চার পুরুষ আগে। চন্দননগর অধিকারী বাড়িতে। রাধাগোবিন্দ মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় চন্দননগরে ফরাসিদের আগমনের আগে।বর্তমান পুরুষ গৌর অধিকারীর দাদু স্বপ্নাদৃষ্ট হয়ে রাক্ষুসী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। নীচুপট্টি অধিকারী বাড়ির মন্দিরে ঢুকলেই চোখে পড়বে রাক্ষুসী মূর্তি,মনে হবে তার চোখ দুটো জ্বলছে। বড় বড় দুটি দাঁত বেড়িয়ে রয়েছে। দেখলে ভয় লাগে। যদিও তার ভক্তি ভরে পুজো হয়। মন্দিরে ভিতরে রাধাগোবিন্দ,জগন্নাথ বলভদ্র ও সুভদ্রার অধিষ্ঠান। প্রতিদিন নিত্য পুজো হয় তিন বেলা সঙ্গে ভোগ হয়। রাক্ষুসী বাড়ির পরিচিতি হওয়ায় অনেকেই দেখতে আসেন। তবে জগদ্ধাত্রী পুজো ও রথের সময় সবথেকে বেশি লোক সমাগম হয়। সেই রাক্ষুসী মন্দিরের বর্তমানে ভগ্নদশা।প্রশাসনের কাছে সংস্কারের দাবী জানিয়েছে অধিকারী পরিবার।গৃহকর্ত্রী ছবি অধিকারী বলেন,আমার শ্বাশুড়ির কাছে শোনা, শ্বাশুড়ির শ্বশুড়কে রাক্ষুসী স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলে তাকে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করতে।রাধাগোবিন্দ মন্দিরে সেই মূর্তি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পুজো হয়ে আসছে।এর প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে।গোবিন্দ বাড়ি এখন রাক্ষুসে বাড়ি নামে পরিচিত হয়েছে।এখনো অনেক মানুষ আসেন মন্দিরে।বহু পুরোনো এই মন্দিরের সংস্কার প্রয়োজন।গৌর অধিকারী বলেন, সংস্কারের জন্য চন্দননগর পুর নিগমকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।